amp

সফল হতে নিজেকে নিচের ৯টি প্রশ্ন করতে পারেন, প্রতিদিন

সাফল্য জীবনে কে না চায়! কারো কাছে সাফল্য নিজ থেকে এসেই ধরা দেয়, আবার অনেকে হাজার চেষ্টাতেও সাফল্যের সামান্যটুকুও খুঁজে পান না জীবনে। তবে হ্যাঁ, সাফল্যের রকমফের আছে বটে! কত দূর এগোলে সেটাকে সফল বলা যায়? বা কতটুকু প্রাপ্তিকে ‘সাফল্য’ হিসেবে উল্লেখ করা যাবে, সে হিসাব মেলানো কঠিন। সত্যিকার অর্থে, প্রকৃত সাফল্যের পেছনে থাকে বহুমাত্রিক প্রচেষ্টা। বিজনেস ইনসাইডারের হিসাব বলছে, প্রকৃত সফল ব্যক্তিরা নিজেদের প্রতিদিনই কিছু প্রশ্ন করেন এবং সেই অনুযায়ী কাজ করেন। আপনিও সফল হতে নিজেকে নিচের ৯টি প্রশ্ন করতে পারেন, প্রতিদিন।


১. এই কাজটা কি আমি করব?

বেশি কিছু না ভেবেই চট করে কোনো কাজ করা সফলদের অভ্যাস নয়। কোনো কাজ করার আগে তাঁরা বুঝে শুনে সিদ্ধান্ত নেন যে কাজটা করা তাঁদের জন্য ঠিক হবে কি না। কারণ সময় ও পরিশ্রমের মূল্য তাঁদের কাছে অনেক বেশি।

২. কোন কাজটা আগে করা উচিত?

ভবিষ্যতের জন্য কোনো কাজ সফল ব্যক্তিরা ফেলে রাখেন না। সবসময়ই কাজের বিষয়ে তাঁরা গুরুত্বের ক্রম বজায় রাখেন। এর মাধ্যমেই তাঁরা ভবিষ্যতের উপযোগী পরিকল্পনাও করে ফেলেন। স্বপ্নে বুঁদ হয়ে থাকেন না মোটেও।

৩. এভাবে কাজ করলে কি দীর্ঘমেয়াদে সাফল্য আসবে?

শর্টলিস্ট করা বা চটজলদি কাজ নিয়ে পড়ে থাকেন না এরা। সাফল্য তাদের চাই দীর্ঘমেয়াদে। এ জন্য তারা সময় নেন এবং এমনভাবে এমন কিছু কাজই করেন যেগুলোয় সাফল্য আসবে দীর্ঘস্থায়ী ভাবে।

৪. কীভাবে আমি আরো কার্যকরী হব?

নিজের কাজে সহজেই সন্তুষ্ট হন না এরা। প্রতি মুহূর্তেই চান উপযুক্ত শিক্ষণ, পর্যবেক্ষণ, পরিশ্রম এবং চিন্তার মাধ্যমে নিজের নেতৃত্বগুণের উন্নয়ন ঘটাতে। এভাবেই এরা সবসময় নিজেকে আরো কার্যকরী ব্যক্তিত্বে পরিণত করার উপায় খোঁজেন এবং সেই অনুযায়ী কাজ করেন।

৫. জিনিসটা কীভাবে মজাদার করে তোলা যায়?

কাজকে কখনো কাঠখোট্টা বা একঘেয়ে রাখতে চান না এরা। সবসময়ই চেষ্টা করেন যেকোনো বিষয়কে কীভাবে মজাদার এবং প্রাণবন্ত করে তোলা যায়। তাঁরা জানেন, একটু হাসি কিংবা মজা অনেক কঠিন বিষয়ের সমাধান করে দিতে পারে।

৬. নিজেকে কীভাবে বিশ্রাম দেব?

চাইলে দিনভর ভাবনা চিন্তা কিংবা পরিশ্রম করা যায়। তবে একটানা শুধু এসবের মধ্যে থাকলে কর্মক্ষমতা শিগগিরই কমে যায়। এজন্য এঁরা নিজেদের একটি নির্দিষ্ট সময় বিশ্রাম দেওয়ার উপায় খোঁজেন।

৭. এই কাজটা করা কি আমার শরীরের জন্য নিরাপদ?

নিজের শারীরিক অবস্থাকে গুরুত্ব দেন এরা। কারণ, শরীরটা ঠিক না থাকলে তো আর কোনো কিছুই করা সম্ভব নয়! কাজেই যেকোনো কাজের আগে এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর হবে কি না, এর একটা মাপঝোক করে নেন তাঁরা।

৮. অন্য কেউ কি এ কাজটা করতে পারবে?

কোনো কাজ পারলেই সেটা নিজের জন্য সীমাবদ্ধ করে রাখতে চান না এঁরা। সব সময় চেষ্টা করেন বেশ কয়েকজন দক্ষ সহকর্মী বা সমকক্ষ মানুষ গড়ে তুলতে। এরা টিমওয়ার্কে বিশ্বাসী।

৯. আমার কাজে আজ সবাই খুশি হয়েছে কি?

নিজের কাজকে নিজেই মূল্যায়ন করতে পারা অনেক বড় গুণ। কোনো কাজের মাধ্যমে যখন অন্য কাউকে উপকৃত বা খুশি করা যায়, তখনই ওই কাজের উদ্দেশ্য পরিপূর্ণ হয়েছে বলা যায়। সফল ব্যক্তিরা সব সময়ই কাজের মাধ্যমে কারো উপকার হয়েছে কি না- এটা যাচাই করে থাকেন।

Comments

Popular posts from this blog

Chikungunya -Fact sheet

অসমাপ্ত কবিতা